what is history :- আমাদের মনে প্রধানত প্রশ্ন জাগে ইতিহাস কি?( what is history in bengali) আবার এ-ও প্রশ্ন আছে ইতিহাস পড়বো কেন?
ইতিহাসের সমাজবদ্ধ মানুষ ও মানবসভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ইতিবৃত্ত.স্মরণাতীত কাল থেকে মানুষ প্রতিকূলতা ও দুর্বিষহ জীবনের সঙ্গে সংগ্রাম করেছে, প্রথমে তারা গুহাবাসী ,তারপর যাযা
বর বৃত্তি তার ওপরে কোন একটা নির্দিষ্ট স্থানে বসবাস করে এবং গ্রামসহ নির্মাণ করেছে খাদ্য সংগ্রাহক থেকে খাদ্য উৎপাদন হয়েছে । এই দুরহ কর্মপ্রবাহ পেছনে রয়েছে সৃজনশীল মন, বিজ্ঞান ,সাহিত্য ,শিল্পবোধ। মানুষের দীর্ঘ যাত্রার কাহিনী তার সাফল্য-ব্যর্থতা বিভিন্ন মানব গোষ্ঠীর সংঘর্ষ এইসব ইতিহাসের উপহার।
ইতিহাস কি এই সামগ্রিক দেখা করার প্রয়াস বস্তুত সাক্স এর ইতিহাস চিন্তা দিয়ে শুরু।
what is history -হেগেলের মতে:
WHAT IS HISTORY? হেগেলের মতে পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়ায় পরম মানষ প্রকাশ। আসলে ইতিহাস আর কিছু নয়,
ইতিহাস হল পরিদৃশ্যমান সমাজের পরিবর্তনের ধারা।পরিচয় দিয়ে কথা বলা যায় মানুষের কৌতূহলের জিজ্ঞাসার কোন অন্ত নেই, তা কখনো শব্দ হয় না। সেই জন্য ইতিহাস চিন্তার রূপান্তর ঘটে চলেছে। অতীত চিন্তা আর যা কিছু মূল্যবান ও শিক্ষণীয় তার
আলোকে নতুনভাবে ঐতিহাসিকেরা চিন্তা করেন। এ চিন্তা শুধু অতীতের বিশ্লেষণ নয়, তা ক্রমাগত ভবিষ্যতের দিকে ও ইঙ্গিত দেয়ার চেষ্টা করে।
WHAT IS HISTORY:ইতিহাস ব্যাখ্যার বিভিন্ন রীতিনীতি আছে।
ইতিহাস ব্যাখ্যার বিভিন্ন রীতিনীতি আছে। এই ব্যাখ্যার জন্য ইতিহাসের ঘটনা কে প্রভাবিত করার পেছনে
কিছু অতীতের ঘটনাবলী কিংবা ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। কেউ কেউ মনে করেন ইতিহাসের ঘটনা বলি
অসংলগ্ন নয় এরমধ্যে এক অন্তর্নিহিত শৃঙ্খলা আছে। ইতিহাস রচনায় ঐতিহাসিকদের যে নীতি অবলম্বন করতে হয় তার
প্রধান হলো অংকের সূত্র খুঁজে বের করা। অপর একদল মনে করেন ইতিহাসের ঘটনা নিয়ম-শৃঙ্খলা বিবর্তিত। প্রাচীন
গ্রিসের বিশ্বাস করত ইতিহাসের ঘটনা জ্যামিতির বৃত্তের নিয়ম কে অনুসরণ করে। ভবিষ্যৎ ইতিহাস অতীত ইতিহাস
অনুসরণের পুনরাবৃত্তি। তবে ভৌগোলিক পরিবেশের তারতম্যের জন্য বিভিন্ন অঞ্চলের সভ্যতা ও সংস্কৃতি স্বতন্ত্র রূপ
নিয়েছে একথা ঐতিহাসিকরা এই রীতিনীতি ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে বিশ্বাস করেন।
WHAT IS HISTORY ? ঐতিহাসিক এর দৃষ্টিতে ইতিহাস।
ঐতিহাসিকেরা ইতিহাসের ব্যাখ্যায় সমসাময়িক ঘটনা লিপিবদ্ধ করার সময় কাহিনীকার নির্ভর করেন প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার উপর। বৈজ্ঞানিক কের সঙ্গে যেমন বিশ্বপ্রকৃতির যোগাযোগ আছে ঠিক তেমনই ঐতিহাসিক এর সঙ্গে অতীতের বিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্ন অবস্থান যোগাযোগ আছে। ঐতিহাসিকরা ইতিহাসের ব্যাখ্যায় তাদের নিরলস প্রয়াস এর দ্বারা সব উপকরণ কেই গণনা করে মুখ অতীতকে বর্তমানের আঙিনায় এনে আরো শক্তিশালী করে তোলেন । ঐতিহাসিকেরা ইতিহাসের ব্যাখ্যায় ঐতিহাসিক রচনায় ইতিহাসের ওপর যেরূপ প্রকাশিত হয় তা প্রধানত নির্ভর করে জিজ্ঞাসার ওপর অর্থাৎ ঐতিহাসিকরা কতটা ইতিহাসের ওপর নির্ভরশীল সেটা দেখার জন্য। বিভিন্ন দিক থেকে দেখলে পাহাড়ের বিভিন্ন হতে পারে কিন্তু পর্বতের একটি নিজস্ব রূপ আছে। সেই রকম ঐতিহাসিক এর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায় অতীত একটি সামগ্রিক ঘটনা। সেই রকম ঐতিহাসিকেরা শুধুমাত্র সত্যান্বেষণ এর আলোকে অদেখা অতীতকে আবিষ্কার করেন। ইতিহাসের রূপ বৈচিত্র যেমন অন্তহীন তার ব্যাখ্যাও তেমনি নানা ধরনের। সব ব্যাখ্যা আবার সমান হয় না, সমান মূল্যবান ও নয়। যে ব্যাখ্যা ইতিহাসের সামগ্রিক রূপ যে কতটা উন্মোচিত করতে পারে তার মূল্য ততবেশি।
-
ঐতিহাসিক এর দৃষ্টিতে ইতিহাস।
-
ঐতিহাসিক ইতিহাসে কিভাবে ব্যাখ্যা করেন।
-
ইতিহাস কি? ঐতিহাসিকরা মনে করেন।
-
অতীত ইতিহাস কিভাবে ব্যাখ্যা করব।
প্রাচীন ভারতের সাহিত্যিক উপাদানের দুষ্প্রাপ্যতার জন্য , প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান গ্রহণ করেছে। সাহিত্যিক উপাদান যতটা ইতিহাস কে সাফল্যমন্ডিত করতে পারে তবে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান তারা না করলেও প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের উপর ভর দিয়েই ঐতিহাসিকরা ইতিহাস রচনা করেন তাই এই উপাদানকে প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে নোঙ্গর বলা যায়