১৯২২ খ্রী:বিখ্যাত ঐতিহাসিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও দয়ারাম সাহানি আবিষ্কৃত সভ্যতা ভারতীয় অন্যতম সভ্যতা নামে পরিচিত ।এই সভ্যতার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল ব্যবসা-বাণিজ্য। তাদের কৃষি অর্থনৈতিক সঙ্গে বাণিজ্য যুক্ত হয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালি করেছিল।জলস্থলে উভয়পক্ষে তাদের বাণিজ্য চলত। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উভয় ক্ষেত্রে বাণিজ্য বলবৎ ছিল । হরপ্পীয় নগরগুলো যেমন একদিকে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ক্ষেত্রে উন্নতির সোপান রচনা করে তাদের অর্থনীতিকে সুদৃঢ় ভিত্তির ভূমি উপর স্থাপন করেছিল। তেমনি অপর দিকে এক স্রস্টারা ভারতীয় ও বৈদেশিক বাণিজ্যের এক বিরাট ক্ষেত্র স্থাপন করেছিল।
বহি: বিশ্বের ভারতের সঙ্গে হরপ্পা সভ্যতার আধিবাসীরা নিশ্চিতভাবে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বোঝায় রেখেছিল।হরপ্পা প্রাপ্ত অজস্র বাটখারা, সিলমোহর ও লিপির বহুল ব্যবহার ব্যাপক বাণিজ্যিক ইঙ্গিত বহন করে। এ প্রসঙ্গে মেসোপটেমিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের দৃষ্টান্ত উল্লেখযোগ্য।সাহিত্যিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক উভয় ধরনের উপাদান থেকে দু’দেশের মধ্যে যে বাণিজ্যিক লেনদেন চলত তা বোঝা যায়।মেসোপটেমিয়ার অঞ্চলের প্রাচীন পুঁথি সমূহ থেকে জানা যায় যে আক্কাদের রাজা প্রথম সাবগণের সময়ে ও আরোও পরবর্তীকালে উভয়ের বণিকরা তিনটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন করত। এই দেশ গুলি হল যথাক্রমে তিলমুন,মগোন,মেলুহা,বেশিরভাগ প্রত্নতত্ত্ববিদ মেলুহাকে নিম্নসিন্ধু উপত্যকার সঙ্গে অভিন্ন বলে মনে করেন। এছাড়া মেসোপোটেমিয়ার মানুষের কাছে ভারত ‘মেলুহা’ বলে পরিচিত ছিল।উক্ত তথ্য থেকে আরোও জানা যায় যে মেসোপটেমিয়াতে ব্যবহৃত সোনারুপা ময়ূর উন্নত মানের কাঁচ, মুক্তা ,হাতির দাঁতের চিরুনি প্রভৃতি আসত মেলুহা থেকে ।মেলুহার সনাক্তকরণ যদি সঠিক হয় ।তাহলে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বোঝায় ছিল ।উল্লেখ্য যে মেসোপটেমিয়ার উভয় সংলগ্ন অঞ্চল থেকে এমন কিছু সীলমোহর আবিষ্কৃত হয়েছে যেগুলি অবিকল হরপ্পীয় সিলমোহরের মত ।অনুরূপভাবে মহেঞ্জোদারো থেকে মেসোপটেমিয়ার ধরনের কিছু সীলমোহর আবিষ্কৃত হয়েছে। সুতরাং মেসোপটেমিয়ার প্রাপ্ত সিলমোহরের সঙ্গে হরপ্পীয় সিলমোহরের আশ্চর্য মিল থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে উভয়দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বোঝায় ছিল।